নতুন ওয়েবসাইট এর জন্য কন্টেন্ট এর প্রয়োজনীয়তা ( Content for new website ) : একটি ওয়েবসাইটের ভিজুয়াল পার্ট হচ্ছে ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট। “কন্টেন্ট ইজ কিং” নিশ্চয়ই কথা টা শুনেছেন। কথা টা বিল গেটস এক সম্মেলনে বলেছিলেন। ধারণা করা হয়, প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে কন্টেন্ট সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি অবদান রাখবে । একটি নতুন ওয়েবসাইট শুরু করার আগে তাই কন্টেন্ট মেকিং নিয়ে আপনার খুব ভালো প্ল্যান থাকতে হবে। কারণ আপনার ওয়েবসাইট এর কন্টেন্টগুলোই প্রাথমিকভাবে ভিজিটরদের কে আকৃষ্ট করে। আপনার ওয়েবসাইট টি যদি হয় ইনফরমেটিভ কিন্তু ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলো যদি ভালো ইনফরমেশন প্রভাইড করতে না পারে তাহলে আপনি খুব বেশি ভিজিটর পাবেন না। আবার আপনার ওয়েবসাইট টি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে হয় সেখানে যদি আপনি প্রোডাক্ট এর রিভিউ আর্টিকেল অথবা ইনফো আর্টিকেল নিয়ে কাজ করেন তাহলে অবশ্যই আপনার আর্টিকেলগুলো সুন্দর, ইনফরমেটিভ হতে হবে। আপনার আর্টিকেল পড়ে কাস্টমার যদি ইম্প্রেস হয় তবেই কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট থেকে ওই কাস্টমার টি প্রোডাক্ট কিনবে। আবার আপনার বিজনেস এর পাবলিসিটির জন্যও আপনার ওয়েবসাইটে ভালো মানের কন্টেন্ট এড করতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট রাইটিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য অবশ্যই প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করা উচিত।
কন্টেন্ট (Content for new website) রাইটিংঃ
আপনি কি জানেন কন্টেন্ট কি? একটি ওয়েবসাইট এ ঢুকলে আমরা লেখা দেখতে পাই, এর সাথে এড থাকে ইমেজ, অডিও এমনকি এনিমেশন। এইগুলোই হচ্ছে ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট। কন্টেন্ট বলতে কেও কেও লিখিত কন্টেন্ট কে বুঝিয়ে থাকে আসলে কন্টেন্ট শুধু লিখিত কন্টেন্ট না। কন্টেন্ট সাধারণত ৪ প্রকার। যেমনঃ
- লিখিত কন্টেন্ট
- ইমেজ কন্টেন্ট
- অডিও কন্টেন্ট
- ভিডিও কন্টেন্ট
একটি ওয়েবসাইটে এই কন্টেন্টগুলোর প্রয়োজনীয়তা কতটা তা নিচে তুলে ধরা হলো।
লিখিত কন্টেন্টঃ
আগে শুধু দাপ্তরিক কাজে কিংবা কবি লেখকদের লেখা-লেখি করতে দেখা যেত। কিন্তু এখন বিজনেসের প্রশারতার জন্য কিংবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য লিখিত কন্টেন্ট এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। লিখিত কন্টেন্ট এর সাথে সাথে প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার এর চাহিদা ও অনেক বেড়েছে কারণ একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার সর্বদা তার কাজের প্রতি ডেডিকেটেড হয়। আপনি আমার লেখা যে আর্টিকেল টি পড়ছেন এটা হলো লিখিত কন্টেন্ট। লিখিত কন্টেন্ট বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। অধিক প্রচলিত কিছু লিখিত কন্টেন্ট হলোঃ- ব্লগিং, কপি রাইটিং, ঘোস্ট রাইটিং, স্ক্রিপ্ট রাইটিং, রিভিউ আর্টিকেল, ইনফো আর্টিকেল ইত্যাদি।
ব্লগিংঃ
বর্তমানে ব্লগিং বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় একটি শব্দ। কারন ইয়াং জেনারেশন আর বসে না থেকে ব্লগিং করে আয় করছে। ব্লগিং বিভিন্ন টপিকের উপর হতে পারে। যেমনঃ ইনফরমেটিভ ব্লগ।
কপিরাইটিংঃ
কপি রাইটিং মুলত বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়। একজন ভিজিটর এর চাহিদা অনুযায়ী, তার উপযোগী করে কপি রাইটিং করতে হয়।
ঘোস্ট রাইটিংঃ
এই বেপারটা অনেক ইন্টারেস্টিং। ধরুন, একজন লেখকের একটি বিষয়ে গল্প লিখতে হবে কিন্তু তার হাতে যথেষ্ট সময় নেই গল্পটা লেখার। এক্ষেত্রে একজন রাইটার তার গল্পটি লিখে দেয়। গল্পের আইডিয়া, প্রেক্ষাপট সব কিছুই লেখক ঘোস্ট রাইটার কে বলে দেন। যেহেতু গল্পটা লেখায় কোন ক্রেডিট, নাম-ঠিকানা কিছুই উল্লেখ থাকে না তাই তাকে ঘোস্ট রাইটার বলে।
স্ক্রিপ্ট রাইটিংঃ
এখানে আপনার পুরো স্বাধীনতা আছে। আপনি যে কোনো বিষয় নিয়ে স্ক্রিপ্ট লিখতে পারেন। আবার আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে টপিক সিলেক্ট করেও দিতে পারে। বর্তমানে ইউটিউবে প্রচুর স্ক্রিপ্ট লাগে। তাই একজন স্ক্রিপ্ট রাইটার এর ডিমান্ড ও বেড়েই চলেছে।
এসাইনমেন্ট রাইটিংঃ
সাধারণত বাইরের দেশের স্টুডেন্টরা তাদের স্কুল/কলেজের এসাইনমেন্ট গুলো ফ্রিল্যান্সার রাইটারদের থেকে করিয়ে নেয় অর্থের মাধ্যমে।
প্রোডাক্ট রিভিউঃ
সাধারণত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ প্রোডাক্ট রিভিউগুলো করা হয়। Amazon, daraz, ebay ইত্যাদি তে যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কাজ করে তারা বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর রিভিউ তাদের ওয়েবসাইট এ পাবলিশ করে থাকে। এতে প্রোডাক্ট এর ফিচারস, ভালো দিক, খারাপ দিক ইত্যাদি উল্লেখ থাকে। প্রোডাক্ট রিভিউ দেখে ভালো লাগলে তবেই একজন কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট ক্রয় করবে। তাই একজন ভালো রাইটার দিয়ে প্রোডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল লেখানো উচিত।
এরকম আরও অনেক লিখিত কন্টেন্ট রয়েছে।
ইমেজ কন্টেন্টঃ
ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন ব্লগের সাথে ইমেজ এড করা দেখি এটাই ইমেজ কন্টেন্ট। বলা হয়ে থাকে একটা ছবির মাধ্যমে যা বোঝানো সম্ভব তা একশো টা ওয়ার্ডের মাধ্যমে ও কখনো কখনো বোঝানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই ওয়েবসাইট এ কোনো কনসেপ্ট কে ক্লেয়ার করতে ইমেজ কন্টেন্ট ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বিজনেসের প্রচারের জন্য অনলাইন ভিত্তিক ব্যানার, গ্রাফিকস ডিজাইন, পোস্টার এই সব কিছুই ইমেজ কন্টেন্ট এর অন্তর্ভুক্ত।
অডিও কন্টেন্টঃ
অনেক মানুষেরই সময় হয়ে ওঠে না একটা পুরো আর্টিকেল পড়ার। তারা এতোটাই ব্যস্ত থাকে যে সব কিছুরই সারমর্ম খোঁজে। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট এর উপরে অডিও আকারে পুরো আর্টিকেল এর সারমর্ম টি তুলে ধরতে পারেন তাহলে বেপারটা মন্দ হয়না। ব্যস্ত মানুষের জন্য এটি খুবই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। আপনি একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন, টেন মিনিট স্কুলের যে ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে তারা আর্টিকেল এর প্রথমে নাটশেল দিয়ে রাখে। এর ফলে যারা ব্যস্ত তারাও আর্টিকেল এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত হলো। আগে রেডিও তে যে নিউজ প্রচার করা হত তা ও অডিও কন্টেন্ট। আবার ইদানিং ভয়েজ অভার খুব জনপ্রিয় একটি টার্ম। ইউটিউব এর ভিডিও বানানোর সময় অনেক ভয়েজ আর্টিস্ট তাদের ভয়েজ ইউটিউব এ অডিও হিসেবে দিয়ে থাকে। এটাও এক ধরনের অডিও কন্টেন্ট। আমরা অনেকেই ভুত এফ.এম এর সাথে পরিচিত। কেও কেও রেগুলার এই প্রোগ্রাম টি শুনে থাকে। উল্লেখ্য যে এটি ও এক ধরনের অডিও কন্টেন্ট কারণ এটা কে আমরা শুধু শুনতেই পাই।
ভিডিও কন্টেন্ট (Content for new website)ঃ
লিখিত কন্টেন্ট এর মতোই ভিডিও কন্টেন্ট ও অনেক জনপ্রিয়। লিখিত কন্টেন্ট এর পাশাপাশি ওয়েবসাইট এ ভিজিটর এর স্থায়িত্ব কিংবা আকর্ষণ ধরে রাখতে এতে ভিডিও এড করা হয়। আবার 2D, 3D এনিমেশন এর মাধ্যমে বর্তমানে অনেক মুভি তৈরি হয়েছে। যেমনঃ grave the fireflies. এনিমেশন ও এক ধরনের ভিডিও কন্টেন্ট। ফেসবুকে বিজনেসের যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় সেটাও ভিডিও কন্টেন্ট। বর্তমানে ওয়েবসাইট এ ভিডিও কন্টেন্ট তো এড হয়-ই তার পাশাপাশি ইউটিউব এ সবাই ভিডিও বানিয়ে আয় ও করে থাকে।
নিশ্চয়ই কনটেন্ট সম্পর্কে আপনার বেশ ভালো ধারণা হয়ে গেছে। আর এটাও বুঝতে পেরেছেন একটা ওয়েবসাইট এর জন্য ভালো মানের কন্টেন্ট এর প্রয়োজনীয়তা অসীম।
পরিশেষেঃ
কন্টেন্ট কে একটা ওয়েবসাইট এর সবকিছু বলা চলে। তাই আপনার নতুন ওয়েবসাইট এর জন্য সবচেয়ে বেস্ট প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করা উচিত। এমন কন্টেন্ট রাইটার নিয়োগ করা উচিত যে কাজের প্রতি ডেডিকেটেড, হাম্বল এবং ইউনিক কন্টেন্ট প্রভাইড করতে সক্ষম। একজন কন্টেন্ট রাইটার কে অবশ্যই ডেডলাইন মেনে চলতে হবে এবং কোয়ালিটিফুল আর্টিকেল প্রভাইড করার সক্ষমতা থাকতে হবে। আপনার প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার প্রয়োজন থাকলে আমাদের সাথে আজই যোগাযোগ করুন Topper it তে।