Social media traffic and search engine traffic: সোশ্যাল মিডিয়া এবং সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিক হলো আইটি সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা অনলাইন মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসার জন্য নেতৃত্ব দেয়। বর্তমানে সামাজিক নেটওয়ার্কগুলির বৃদ্ধির সাথে সাথে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংকে আজ আরো ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওয়েবসাইট ট্রাফিক বর্তমানে বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রমের মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, Social media traffic এবং সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিক এর মধ্যে পার্থক্য কি কিংবা কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ! আপনার কৌতূহলকে প্রাধান্য দিতেই চলে এলাম আজকের এই ধামাকা আর্টিকেলটি নিয়ে। সাথেই থাকুন।
সোশ্যাল মিডিয়া কি?
দৈনন্দিন জীবনের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের অবদান। এটি বাংলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবেও পরিচিত। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে যুক্ত নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রতিটি মানুষ এখন ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোর মতো কোন না কোন প্লাটফর্মে যুক্ত থেকে তার সুবিধাদি ভোগ করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ট্রাফিক কি (Social media traffic)?
Social media traffic হলো সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়মিত দর্শনার্থীগণের প্রযুক্তিগত পরিচয়। অর্থ্যাৎ যারা এসব মিডিয়ার বিভিন্ন কন্টেন্ট ভিজিট করে থাকেন তাদের এই ভিজিটিং ইস্যুটিই সোশ্যাল মিডিয়া ট্রাফিক হিসেবে পরিচিত। এই সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলো নিয়ে তৈরি হওয়া জীবনটি সম্পূর্ণ কৃত্রিম হলেও ডিজিটাল মার্কেটারদের ক্ষেত্রে মুনাফা লাভের দারুণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। অনলাইন ব্যবসার সাথে জড়িত সকলেই এর উপর বেশ খানিকটা নির্ভরশীল।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোনগুলো?
যেসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মানুষ সামাজিক যোগাযোগ স্থাপন করার সুযোগ পায় সেসব ওয়েবসাইট এই সোশ্যাল মিডিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
জনপ্রিয় কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া হলোঃ
- YouTube
সার্চ ইঞ্জিন কি?
সার্চ ইঞ্জিন শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। এখন আর কোনো কিছু জানার জন্য আমাদের পাশে থাকা বিভিন্ন লোকদের কাছে কাকুতি মিনতি করার যুগ নেই। যে কেউ সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর জানতে পারছে সহজেই। সার্চ ইঞ্জিন নামক সফটওয়্যার প্রোগ্রামটি তথ্য জমা করে এবং প্রয়োজনের সময় সেটা প্রদান করে। এটিকে মাকড়সার সাথে তুলনা করা যেতে পারে। কেননা এটি পুরো নেট দুনিয়ায় জালের মত ছড়িয়ে থাকে নিজের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। শব্দ, বাক্য, প্রশ্ন ইত্যাদির সঠিক উত্তর ও তথ্য খুঁজে বের করাই হলো এর মূল কাজ৷
সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিক কি?
যেসব দর্শকেরা একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে যাওয়ার জন্য সার্চ রেজাল্টে ক্লিক করে একটি ওয়েবসাইটে আসে সেসব দর্শককেই মূলত সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিক বলা হয়৷ এটি অর্গানিক ট্রাফিক নামেও বেশ পরিচিত। একটি ওয়েব এনালাইটিক্স প্রোগ্রাম ব্যবহার করে প্রতিটি ওয়েবসাইটের সামগ্রিক সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিককে বিভিন্ন ওয়েব পেইজ বা সাইট ক্যাটাগরির জন্য কয়েকটি ভাগে ভাগ করে থাকে।
সার্চ ইঞ্জিন কোনগুলো?
সেকেন্ডে প্রায় ৪০ হাজার বিষয়ে সার্চ করা সাইটগুলো বর্তমানে মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। যেমনঃ-
- পিপীলিকা
- ইয়াহু
- স্টার্ট পেইজ
- ডাকডাকগো
- আস্ক ডটকম
- গিফি
সোশ্যাল মিডিয়া এবং সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিকের পার্থকঃ
সোশ্যাল মিডিয়া ট্রাফিক তারাই যারা নিয়মিত বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটের কন্টেন্টের সাথে পরিচিত। একটি অনলাইন বিজনেসের ক্ষেত্রে তারা যে একেবারেই কাজে দেয় না তা কিন্তু নয়। তবে এক্ষেত্রে বিশ্বস্ততার একটি প্রশ্ন থাকে। কেননা এই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি একাউন্ট করা যেমন খুবই সহজ এবং ঝামেলামুক্ত, তেমনই সেটি ব্যবহার করে অনলাইন ব্যবসা চালানোটিও বেশ সহজ।
এতটুকু পর্যন্ত ঠিক থাকলেও বিপত্তি বাঁধে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেলিংয়ের সময়। যেহেতু এখানে রেনডমলি যে কেউ ব্যবসা করতে পারছে এবং গ্রাহককে ঠকানোর পর অধিকাংশ সময়ই নালিশ করেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না, সেহেতু এই স্থানটিতে বিশ্বাসের জায়গাটি তৈরি করাটা কিছুটা কঠিন। তবে হ্যাঁ! একথা ঠিক যে, একবার বিশ্বাস অর্জন করতে পারলেই এক্ষেত্রে সফলতার মূখ দেখতে পারাটা কোনো বিষয়ই না। কেননা এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ যার ফলে বিভিন্ন শ্রেনীর ব্যবহারকারীর মিলনমেলা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলি।
অপরদিকে সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিকের ব্যাপারটি একেবারেই অন্যরকম। এটি মূলত আসে গুগলের মাধ্যমে। কোনো গ্রাহক আপনার সার্ভিস সম্পর্কে জানতে চাইলে একমাত্র গুগলকে সম্বল করেই সোজা চলে আসবে সাইটে। যা আমরা সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিক হিসেবে চিনি। সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিকের ক্ষেত্রে সেলিংয়ের ব্যাপারটি মোটামুটি শতভাগ নিশ্চিতই বলা যায়। কেননা এতে বিশ্বস্ততা ব্যাপারটি পুরোপুরি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারা যায়। অধিকাংশ গ্রাহকই ওয়েবসাইট আছে এমন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পণ্য বা সার্ভিস নিতে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করে।
তবে এক্ষেত্রে মূল সমস্যা হলো এই সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর চাইতে তুলনামূলক কম। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় পেইড এড বা ফ্রি এডের মাধ্যমে গ্রাহকের চোখের সামনে যেভাবে বিভিন্ন প্রোডাক্টের ভেল্কিবাজি দেখানো যায়…সাইটে তেমনটা পারা যায় না। দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে করতেই অনেকের কোনো একটি প্রোডাক্ট ভালো লেগে যায় এবং পরে তা কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এটি সম্ভব হয় দীর্ঘসময় এবং নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের কারণে। আপরদিকে সাইটের ক্ষেত্রে সবার আগে সাইটে প্রবেশ করাটা আবশ্যক। এর পরেই বিভিন্ন প্রোডাক্টের বিচার করা এবং কেনার পালাটা আসে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রিতে বেশ ভালোই ট্রাফিক পাওয়া যায়। একটি প্রফেশনাল আইডি, পেইজ, গ্রুপ প্রয়োজনীয় ট্রাফিক এনে দিতে পারে সহজেই। কিন্তু ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে একেবারে ফ্রিতে তা সম্ভব হলেও কাজটা কিছুটা কঠিন। ভালোভাবে এসইও করার পাশাপাশি মার্কেটিংয়ের ব্যাপার তো থাকছেই। তবে সাইট তৈরি থেকে শুরু করে তাকে সাজানোর প্রক্রিয়াটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। (এক্ষেত্রে আপনি চাইলে আমাদের সাইটের সেরা সার্ভিসগুলি লুফে নিতে পারেন। স্বল্প বাজেটে সেরা সার্ভিস পেতে চাইলে আমরাই হতে পারি আপনার বেস্ট অপশন। তার প্রমাণ আমাদের পূর্বের কাজ এবং শ্রম)
সোশ্যাল মিডিয়া ট্রাফিক এবং সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিক আসার পথ একে অপরের চাইতে একেবারেই আলাদা। দুটি মোটামুটি ভিন্ন পথেরই পথিক। তবে মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে একে-অপরের সাথে বেশ সম্পর্কযুক্ত। সোশ্যাল মিডিয়া ট্রাফিক আনার একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর উপায় হলো অধিক ফলোয়ার বা ভিজিটর আছে এমন কোথাও সার্ভিস সম্পর্কিত কন্টেন্ট পাবলিশ করা। হতে পারে নিজের পেইজ, প্রোফাইল, বড় কোনো গ্রুপ। মূলত এসব সেক্টরই সোশ্যাল মিডিয়া ট্রাফিক আনতে শতভাগ কাজ করে।
অন্যদিকে সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিকের ক্ষেত্রে সবার আগে এসইও এর দিকে নজর দিতে হয়। এতেই কাজের সমাপ্তি ঘটে না। সাথে দরকার পড়ে সাইট, ইউনিক কন্টেন্ট, কপিরাইট মুক্ত ইমেইজ, লিংকিংসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রসদগুলির৷
শেষ কথাঃ
সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা সার্চ ইঞ্জিন যেকোনো সেক্টরই তাদের জন্যই পারফেক্ট এবং লাভজনক যারা সততার সাথে ধৈর্য্য ধরে স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে চলার চেষ্টা করে। সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ট্রাফিক আনার সহজ উপায়, একটি মানসম্মত ওয়েবসাইটও তেমন পণ্য বা সার্ভিস সেলিংয়ের সেরা মাধ্যম। দুটো যেহেতু একে-অপরকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে সেহেতু দু’টোকে একসাথে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলাটাই সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমানের কাজ।
ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়, সোশ্যাল মিডিয়ার সেক্টরে ওয়েবসাইট লিংক এড, ওয়েবসাইটে সোশ্যাল মিডিয়ার লিংক এডসহ অসংখ্য টিপস রয়েছে। যা একসাথে ফলো করলে সফলতা আসবেই। কেননা দু’টো সেক্টরেই ট্রাফিক আছে। ফলে সেলিং হওয়ার ব্যাপারটি খুব সহজেই ঘটতে পারে। সুতরাং যারা অনলাইন বিজনেস করছেন বা করবেন ভাবছেন তারা এই দুটো দিকেই সমান মনোযোগ দিন। পাশাপাশি এসম্পর্কিত বিভিন্ন কন্টেন্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।