You are currently viewing Website Maintainance কেন গুরুত্বপূর্ন?

Website Maintainance কেন গুরুত্বপূর্ন?

সকল ধরনের ব্যবসায় গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং গ্রাহকদের কাছে আপনার ব্যবসার রেপুটেশন ধরে রাখতে রেগুলার Website Maintainance অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। তাছাড়াও সার্চ-ইঞ্জিনগুলোতে র‌্যাঙ্কিং ধরে রাখতে এবং জনগণের কাছে নতুন তথ্য, পণ্য এবং পরিষেবা সম্পর্কে উপস্থাপনা করতে Regular Website Maintenance এর কোন বিকল্প নেই। আর একটি ওয়েবসাইট তৈরির খরচ ও কিন্তু কম নয়, তাছাড়াও প্রতিযোগিতামূলক এই বিশ্বে আপনার ব্যবসায়িক প্রতিদন্ধীদের তুলনায় আপনার ব্যবসাকে যুগের সাথে মানানসই রাখতে অবশ্যই আপনার ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটের নিয়মিত মেইনটেনেন্স আবশ্যক।

আজ আমরা ৫ বিভিন্ন ধাপে রেগুলার ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো।

প্রথমেই যেসকল ধাপ নিয়ে  আমরা আলোচনা করবো সেগুলো পয়েন্ট আউট করে নেওয়া যাক।

  • ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স কি?
  • কেন রেগুলার ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স গুরুত্বপূর্ন?
  • বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স খরচ কেমন?
  • ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স এর সময়কাল কেমন হতে পারে?
  • কোথায় থেকে ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স সার্ভিস নেওয়া যথার্থ হবে?

ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স কি?

ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স হ’ল ওয়েবসাইটের সমস্যা ও ত্রুটিগুলির জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে নিয়মিত Technical Audit করা এবং ওয়েবসাইটকে আপডেট এবং প্রাসঙ্গিক রাখা। আর অবশ্যই এই কাজটি  একটি ধারাবাহিক ভিত্তিতে করা উচিত, যা আপনার সাইটকে এসইও এবং গুগল র‌্যাঙ্কিংকে আরও একধাপ এগিয়ে নিবে এবং আপনার ওয়েবসাইটকে হেলদি রাখতে ও অব্যাহত ট্র্যাফিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।

রেগুলার Website Maintainance কেন গুরুত্বপূর্ন?

আমরা সকলেই একটি সু-কাঠামোগত ওয়েবসাইট এর গুরুত্ব জানি। আপনার ওয়েব সাইটের সুরক্ষা বজায় রাখতে অবশ্যই আপনাকে একটি নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় রেগুলার ওয়েবসাইটের মেইনটেনেন্স করতে হবে। যেমন ধরুন আপনার কার গাড়ি অথবা মোটর বাইক এর মতো। সঠিকভাবে চালনার জন্য এর নিয়মিত পরিচর্যা প্রয়োজন। তাছাড়াও নিয়মিত ওয়েবসাইটের মেইনটেনেন্স আপনার সাইটের নিরাপত্তার সাথে সাথে, আপনার সাইটে নতুন ভিজিটর আসতে এবং সার্চ ইঞ্জিন গুলোর সর্বশেষ অ্যালগরিদমের সাথে আপডেটেড থাকতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স এর গুরুত্বপূর্ন দিক ‍গুলোকে আমরা আবার কয়েকটি ধাপে ভাগ করতে পারি। যেমন:

ওয়েবসাইটের ‍সুরক্ষাকে আরও উন্নত করেঃ

সুরক্ষাই হলো ওয়েবসাইটের মেইনটেনেন্স এর অনত্যম প্রধান কারন। যদি আপনার ওয়েব সাইটির কন্টেন্ট ম্যানেজমন্টে সিস্টেম হিসাবে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এর মত জনপ্রিয় প্লাটফর্মকে বেছে নিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই চাইবেন আপনার ওয়েবসাইটটি সকল প্রকার software patches and security updates এর আওতায় থাকুক। যাতে করে হ্যাকাররা কোনাভাবেই আপনার ওয়েবসাইট হতে তথ্য চুরি করতে সর্মথ না হয়।

ওয়েবসাইটের ‍ট্রাফিক বুস্ট করেঃ

ব্যবহারকারীদেরকে সেরা মানের কন্টেন্ট সরবরাহ করার ক্ষেত্রে,গুগলের মতো সার্চ-ইঞ্জিনগুলি নিয়মিত আপডেট হওয়া ওয়েবসাইটগুলোকে র‌্যাংক প্রদানের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আর এখানেই নিয়মিত আপডেট রাখার বিষয়টা একটা জাদুকরী প্রভাব ফেলে। কারণ আপনার সাইটের র‌্যাংক যত উপরের দিকে থাকবে ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি এবং রেপুটেশন ততোটাই গুরুত্ব পাবে এবং সেই অনুযায়ী আপনার ওয়েব সাইটে ট্রাফিক সংখ্যা বাড়তে থাকবে। গুরুত্বপূর্ন তথ্য দিয়ে সব সময় গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা, Broken Link গুলোর মেরামত করা, সাদৃশ্য আছে এমন পেজগুলি মুছে ফেলা প্রভৃতি মেইনটেনেন্স এর আওতায় পড়ে, আর এর মাধ্যমেই আপনার ওয়েব সাইটে নতুন এবং পুরাতন উভয় রকমের ট্রাফিক নিশ্চিত করা সম্ভব।

আগত ভিজিটরদের জন্য অনুকূল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করেঃ

নিয়মিত আপডেটকৃত ওয়েবসাইট গুলোতে আপকামিং ইভেন্ট, ইমেজ গ্যালারি এবং ব্লগ পোস্ট আপনার ওয়েবসাইটে কি হয়ে এবং কি হতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা প্রদান করে থাকে। নিউজলেটারে সাইন-আপ ফর্ম এবং সোশ্যাল মিডিয়া আইকনগুলির মতো কার্যকারী আইটেমগুলি অন্তর্ভুক্ত করে আপনার ওয়েবসাইটে আগ ত ভিজিটরদের সাথে একটি সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারেন। যা আপনার সাইটের সাথে ভিজিটরদের অভ্যস্ত করে তুলবে। ভালোভাবে রক্ষানাবেক্ষনকৃত একটি ওয়েবসাইট আপনার কার্যক্রম এবং আপনার ব্র্যান্ডের মিশন সম্পর্কে ধারনা দিয়ে থাকে। তাই আপনার ওয়েব সাইটের বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি গুলো ট্র্যাক করার জন্য এবং আউটডেটেড তথ্য গুলি মুছে ফেলতে অবশ্যই নিয়মিতভাবে টেকনিক্যাল অডিট করতে হবে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে Website Maintainance খরচ কেমন?

2020 সালে, ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় উল্লেখযোগ্য-ভাবে পরিবর্তিত হতে দেখা যাচ্ছে। আপনার ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় নির্ভর করে থাকে, আপনার সাইটের আকার, জটিলতা এবং কার্যকারিতা এবং সেইসাথে আপনার সেবা প্রদানকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান, তাদের দক্ষতা এবং প্রাইসিং মডেল এর উপর। আপনি যদি ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স এর খরচ কেমন হতে পারে তার একটি সুনির্দিষ্ট হিসাব পেতে চান তাহলে Topper it এর ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স প্রাইস মডেল থেকে ধারনা নিতে পারেন।

Website Maintainance এর সময়কাল কেমন হতে পারে?

আপনার website maintenance strategy নির্ভর করে কতটা সময় নিয়ে,কতখানি গুরত্বের সাথে এবং কিরকম নিয়মমাফিক আপনি আপনার ওয়েবসাইট আপডেট করে থাকেন। একটি ছোট আকারের ওয়েবসাইট-এর ক্ষেত্রে মাসিক ২ থেকে ৩ ঘণ্টাতেও আপডেট এবং মেইনটেনেন্স কাজটা করে ফেলা সম্ভব আপর অন্যদিকে একটি বড় আকারের ওয়েব সাইটের জন্য একজন ফুল-টাইম  ডেডিকেটেড লোকেরও প্রয়োজন পড়তে পারে।

কোথায় থেকে Website Maintainance সার্ভিস নিবেন?

আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর মেইনেটেনেন্স সার্ভিস এর জন্য দুই ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন। তা হলো আপনি এই সার্ভিস একজন Individual Freelancer-এর কাছ থেকে নিবেন নাকি কোন এজেন্সি এর কাছ থেকে গ্রহণ করবেন। সেক্ষেত্রে যদি আপনি আমাদের মতামতের উপর নির্ভর করতে চান আমাদের মতামত হবে আপনি যেকোনো মেইনটেনেন্স এজেন্সি-এর কাছে থেকে এই সেবাটি গ্রহণ করুন। কেননা ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স একটি অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ ব্যপার আপনি যদি এইরকম কোন লংট্রাম প্রজেক্ট কোন এজেন্সি এর কাছে থেকে গ্রহণ করে থাকেন তাহলে আপনি একটি অফিসিয়াল চুক্তির মাধ্যমে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে পারবেন। আর যদি স্বাধীন কোন ফ্রিল্যান্স পেশাজীবীর সাথে এইরকম চুক্তি করতে চান, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বিষয়টি এখনো একপ্রকার চ্যালেন্জিং। কেননা কোন ফ্রিল্যান্সারকে হায়ার করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোন না কোন ফ্রিল্যান্স মার্কেট-প্লেস থেকে হায়ার করতে হবে আর সেক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে বাংলাদেশের জন্য একপ্রকার মরীচিকার মত। অথবা আমাদের এজেন্সিকে থেকে কম দামে ভালো মানের সার্ভিস নিতে পারেন । তাই আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।

পরিশেষেঃ

আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট এর মেইনটেনেন্স সুন্দর ভাবে করিয়ে নিতে চান তাহলে আজই Topper it এর সাথে যোগাযোগ করুন। এখন রয়েছে দক্ষ ডেভেলপাআর যা আপনার হাতের নাগালেই পেয়ে যাচ্ছেন। তাই চিন্তার কোন কারণ নেই! Topper it আপনাকে দিবে বেস্ট সার্ভিস।